এম.পি. সার্কেল, আন্তর্জাতিক সংযোগ ডেক্স:
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর মারিউপোলে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। রবিবার মস্কো জানিয়েছে, শহরটিতে ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ প্রকাশ হয়ে পড়ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে রাশিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের পরিচালক কর্নেল জেনারেল মিখাইল মিজিনেস্তভ বলেন, ‘অস্ত্র সমর্পণ করুন। এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা যাচ্ছে। যারা অস্ত্র সমর্পণ করবে তাদের সবাইকে নিরাপদে মারিউপোল ছেড়ে যাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া আগ্রাসন শুরুর পর ইউক্রেনের যে কয়েকটি শহর মারাত্মক গোলাবর্ষণের শিকার হয়েছে সেগুলোর মধ্যে মারিউপোল অন্যতম। শহরটির ৪ লাখ বাসিন্দার অনেকেই আটকে পড়েছেন। খাবার, পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ সীমিত হয়ে পড়েছে।
মিজিনেস্তভ জানান সোমবার মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল দশটা থেকে মারিউপোলের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে বেসামরিকদের জন্য মানবিক করিডোর খুলে দেওয়া হবে। তিনি জানান, এর আগে মস্কোর স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ইউক্রেন মানবিক করিডোর নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার এবং অস্ত্র সমর্পণের সুযোগ পাবে।
গত কয়েক সপ্তাহে এই ধরনের মানবিক করিডোরের ব্যর্থতা নিয়ে পরস্পরকে দায়ী করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
কোনও প্রমাণ সরবরাহ ছাড়াই মিজিনেস্তভ দাবি করেন ইউক্রেনীয় ‘দস্যু’, ‘নব্য নাৎসি’ এবং জাতীয়বাদীরা মারিউপোলে ‘ব্যাপক সন্ত্রাস’ এবং ‘হত্যার মত্ততায়’ মেতেছে।
ইউক্রেন বলছে তারা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে লড়ছে। শনিবার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, মারিউপোল অবরুদ্ধ করে রাখা এমন এক সন্ত্রাস যা আগামী কয়েক শতাব্দী ধরে স্মরণ করা হবে। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ক্রেমলিন বলছে এসব নিষেধাজ্ঞা অর্থনৈতিক যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।
মিজিনেস্তভ বলেন, মারিউপোলে ভারি অস্ত্র ব্যবহার করছে না রাশিয়া। তিনি বলেন, শহরটি থেকে ৫৯ হাজার ৩০৪ বেসামরিককে রাশিয়া সরিয়ে নিয়েছে কিন্তু এখনও এক লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দাকে কার্যত জিম্মি করে রাখা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর দেশটি থেকে তিন লাখ ৩০ হাজার ৬৮৬ জনকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া।
খবর রয়টার্স