1. mympcircle@gmail.com : Md. Jasemuddin : Md. Jasemuddin
  2. jasemruman@gmail.com : mpcircle :
সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি :
‘এমপি সার্কেল’ সংশ্লিষ্ট সকলের সতর্কতার জন্য জানানো যাচ্ছে যে, 'এমপি সার্কেল' এর 'সম্পাদক, প্রকাশক ও স্বত্বাধিকারী' জনাব মোঃ জসীমউদদীন (রুমান) এর ব্যাংক একাউন্ট,  বিকাশ/নগদ/রকেট/উপায় এর '০১৭১২ ৩৯২৫৭০' নম্বরের (পার্সোনাল) একাউন্ট এবং 'জাগো প্রতিদিন' নামীয় অগ্রণী ব্যাংকের চলতি হিসাবের মাধ্যম ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে 'এমপি সার্কেল' এর পক্ষে কোন ধরণের আর্থিক লেনদেন পরিচালিত হয়না। অতএব, অন্যকোন মাধ্যমে 'এমপি সার্কেল' বিষয়ক আর্থিক লেনদেন না করার জন্য সবাইকে নিষেধ করা হচ্ছে। সতর্কতায়:- 'এমপি সার্কেল' ও 'জাগো প্রতিদিন' কর্তৃপক্ষ।

বিএনপি’র এমপি হারুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড হাইকোর্টে বহাল

  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১

এমপিসার্কেল, বিবিধ সংযোগ ডেক্সঃ
শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে তাকে নতুন করে আর জেলে যেতে হবে না। তিনি যে ১৬ মাস হাজতবাস করেছেন সেই সময়কালটাই সাজা হিসেবে গণ্য হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ এমপি হারুনের আপিল আবেদনটি খারিজ করে আদেশ দেন। এ মামলায় তিন আসামির কারাভোগের সময়কালকে (১৬ মাস) সাজা হিসেবে গণ্য করে তাদের আপিল খারিজ করেন হাইকোর্ট। ফলে সাজা বহাল থাকলেও এমপি হারুনকে নতুন করে কারাভোগ করতে হবে না।

এদিন আদালতে এমপি হারুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তার সঙ্গে ছিলেন সৈয়দ মিজানুর রহমান ও এইচ এম সানজীদ সিদ্দিকী। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো.খুরশীদ আলম খান।

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় এমপি হারুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ওই রায়ে তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

বিচারিক আদালতের ওই রায়ে এমপি হারুন ছাড়াও চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসামি এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে (এমডি, চ্যানেল ৯) ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর আসামি ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল।

বিচারিক আদালতের দেওয়া পাঁচ বছরের সাজার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর হাইকোর্টে আপিল করেন বিএনপি নেতা হারুন অর রশীদ। পরে উচ্চ আদালত আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং আসামিদের জামিন আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, হারুন চার দলীয় জোট সরকারের সময় ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হ্যামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্তভাবে ক্রয় করে। গাড়িটি তিনি পরে আরেক আসামি ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডি বাপ্পীর কাছে বিক্রি করেন।

নিয়ম অনুযায়ী শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়, কিন্তু আসামি হারুন শুল্ক না দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেন। এ অভিযোগে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক ইউনুছ আলী এমপি হারুনসহ তিনজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। ওই বছরই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় এবং আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। হারুন অর রশীদ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হন।

সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো লেখা

© একটি 'জাগো প্রতিদিন' প্রচেষ্টা এবং মোঃ জসীমউদদীন (রুমান) কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Site Customized By NewsTech.Com