এমপি সার্কেল, আনন্দ-বিনোদন ও বিশেষ প্রতিবেদন ডেক্স:
বয়স যে শুধু মাত্রই একটি সংখ্যা তা আরও একবার প্রমাণ হল। ‘মিসেস ইন্ডিয়া ওয়ান ইন আ মিলিয়ন’-এর মঞ্চে প্রতিষ্ঠিত হলো মানুষের ইচ্ছা শক্তি আর অদম্য পরিশ্রম। ৫৫ বছর বয়সী মডেল রুপিকা গ্রোভার জিতে নিলেন খেতাব ‘মিসেস ইন্ডিয়া ওয়ান ইন আ মিলিয়ন’। রূপিকা পেশায় একজন মডেল, অভিনেত্রী। সমাজের বাধাধরা নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রুপিকার এই জয়ের চর্চা এখন সর্বত্র।
জম্মুতে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠা রূপিকার। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের টানে ভূস্বর্গ ছেড়ে এসেছিলেন মুম্বাইতে। বিনোদন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হন। এমনকী সংসারও শুরু করে। রূপিকার দুই ছেলে রয়েছে। পশুদের নিয়েও কাজ করছেন রূপিকা দীর্ঘদিন, তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জুড়ে আছেন এলাকার একাধিক এনজিও-র সঙ্গে।
রণবীর সিং, অমিতাভ বচ্চনের মতো তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন রূপিকা। তবে ৫০ পেরিয়ে মিসেস ইন্ডিয়ার অংশ হওয়া নিসন্দেহে ছিল তার জন্য একটি সাহসী পদক্ষেপ। ফ্যাশন শো-তে অংশ নেওয়ার জন্য কঠিন প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। কোরিওগ্রাফার সন্দীপ সোপারকার এবং ফ্যাশন ডিরেক্টর-প্যাজেন্ট প্রশিক্ষক কবিতা খারায়াত-সহ অভিজ্ঞ পরামর্শদাতাদের সাহায্যে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। নিজের কথা বলা, হাঁটা সমস্তটাই বদলে নিয়েছিলেন গত কয়েক মাসে। যা তার জয়ের পথকে শুধু প্রশস্তই করেনি, বাড়িয়েছে মনোবলও।
মিসেস ইন্ডিয়া ওয়ান ইন এ মিলিয়ন ২০২৩-এর মুকুট জেতার পাশাপাশি, রূপিকা ‘বোল্ড অ্যান্ড বিউটিফুল ক্লাসিক’, ‘ফিট ক্লাসিক’ এবং ‘ট্যালেন্টেড ক্লাসিক’-সহ একাধিক খেতাব জিতেছেন।
রূপিকার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় মুকুট জয় নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে সব বয়সী নারীদের জন্যই। এটি প্রমাণ করে যে কঠোর পরিশ্রম, নিজের স্বপ্নে বিশ্বাস এবং একটি সাহসী পদক্ষেপ দিয়ে যে কেউ তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে পারে। সঙ্গে তাঁর জয় বার্তা পাঠায় যে, সৌন্দর্য কোনও বয়স বা জায়গার সীমানা মানে না। সমাজের বাধাধরা নিয়মকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন রূপিকা গ্রোভারের মতো নারীরা বরাবরই।