এমপি সার্কেল, আলোচিত সংবাদ চক্র ডেক্স:
বন্দি স্বজনদের ফিরে পেয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছে ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের বিভিন্ন পরিবারের সদস্যরা। ইতোমধ্যে, গাজায় অব্যাহত আছে ত্রাণ সরবরাহ। যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন এখন পর্যন্ত দুই শত ত্রাণবাহী ট্রাক রাফাহ ক্রসিং অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ফিলিস্তিন শাখা (পিআরসিএস)।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার গাজায় মোট ১৯৬টি ত্রাণ ও সহায়তা পণ্যবাহী ট্রাক রিসিভ করেছে পিআরসিএস। এসব ট্রাকের ৮টিতে ওষুধ ও মেডিকেল পণ্য, চারটি ট্রাকে হাসপাতাল শয্যা এবং বাকিগুলোতে খাদ্য, পানি ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী রয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় গত দেড় মাসে এই প্রথম একদিনে এত বেশি সংখ্যক সহায়তা পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করল।
এদিকে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনেও একই সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির কারণে বেশি সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের কারণে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রথমবারের মত গাজার উত্তরে মানবিক সাহায্য বিতরণ করা হচ্ছে।
আল জাজিরা জানায়, উত্তর গাজায় আটকে পড়া বাসিন্দাদের সহায়তা বিতরণ করার জন্য সে অঞ্চলে জাতিসংঘ কর্তৃক বেশ কয়েকটি মানবিক সহায়তা ট্রাক পৌঁছে দেয়া হয়েছে। গাজার যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত স্থানটিতে এতদিন ধরে ইসরায়েলি বাহিনী জাতিসংঘ বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে এই অঞ্চলে মানবিক সহায়তা বিতরণের অনুমতি দেয়নি।
উত্তর গাজার হাসপাতালগুলোও যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কোনো চিকিৎসা সহায়তা পায়নি। এমনকি চরক খাদ্য অভাবে রয়েছে এ অঞ্চলের স্থানীয়রা।
তবে সহায়তা পৌঁছানোর পরপরই জাতিসংঘ আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের মধ্যে এই সাহায্য বিতরণ করছে এবং যে উত্তরের সমস্ত মানুষ যেন মানবিক সহায়তা পায় সেই চেষ্টা চালাচ্ছে।
জাতিসংঘ বলছে যে পরিমাণ ত্রাণ ও সহায়তা পৌঁছেছে তা এখনো চাহিদার তুলনায় খুবই সীমিত।