এমপি সার্কেল, সংবাদ সংযোগ ডেক্স:
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নির্বাচনের আগে শুরু হতে পারে এবং নির্বাচনের পরেও চলবে। আমরা প্রত্যাবাসনের খুব কাছাকাছি, কিন্তু তবুও কিছু প্রচেষ্টা প্রয়োজন এবং আমরা এর জন্য কাজ করছি। চীন এখানে মধ্যস্থতাকারী এবং সাহায্যকারী। আমরা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সাহায্য করছি।
শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চীনা দূতাবাসের অর্থায়নে চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে বিভিন্ন সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
বিশ্ব সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, মিয়ানমার ঘুরে এসে কিছু রোহিঙ্গা বলেছেন, প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারে উপযুক্ত পরিবেশ নেই। কিন্তু তারা তো সারা জীবন বাংলাদেশে থাকতে পারবে না। তারা যেন ফিরে যেতে পারে সে পথ বের করতে হবে।
পাইলট প্রকল্পের অধীনে কবে নাগাদ প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেন, আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। পরিস্থিতি ভালো হলে যেন চলে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের ভালো বন্ধু। তারা আমাদের বিশ্বাস করে। তাদের অনুরোধে চায়না সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করছে। আমরা তাদের একত্রিত করেছি কথা বলার জন্য। একটা সমাধান বের করার জন্য। যেন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ফিরে যেতে পারে। আমরা খুশি এই কাজে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এখানে মিয়ানমারের কর্মকর্তারা এসেছেন ও কিছু রোহিঙ্গা রাখাইনে গিয়ে ভিজিট করেছেন
চীনা রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি- এখানে একটা ঐকমত্য হয়েছে যেন করে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু রোহিঙ্গা ফিরে যেতে পারে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কিছু রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো।
ইয়াও ওয়েন আরও বলেন, শুধু বাংলাদেশ ও মিয়ানমার না, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এখানে এক হয়ে কাজ করা। কিছু মানুষ বলছে মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত নয়। কিন্তু এই রোহিঙ্গারা কখনো বাংলাদেশে বসবাস করতে পারে না। আমাদের একটা সমাধান বের করা দরকার, যেন তারা ফিরে যেতে পারে। এখানে সবার প্রচেষ্টা দরকার।
তিনি বলেন, সবার ঐকমত্য একটা সমাধান বের হয়। আশা করি- তারা এই সমস্যার সমাধানের জন্য এই প্রত্যাবাসনের পক্ষে আমাদের পাশে দাঁড়াবে।