এমপি সার্কেল, সংবাদ সংযোগ ডেক্সঃ
২০২৫ সাল পর্যন্ত উন্নত দেশগুলো প্যারিস চুক্তির আওতায় প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার যে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে, এবারের সম্মেলনে তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ২০২৫ সালের পর এ বিষয়ে উন্নত দেশগুলোর অবস্থান কী হবে, সেটি আলোচনায় করবে বাংলাদেশ।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে মিশরের শার্ম এল-শেখ এ ৬ নভেম্বর ২০২২ (রোববার) থেকে শুরু হচ্ছে কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলন।
ঢাকার পক্ষ থেকে সম্মেলনে ২০২৫ সাল পর্যন্ত উন্নত দেশগুলো প্যারিস চুক্তির আওতায় প্রতি বছর যে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে, তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হবে। পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ২০২৫ সালের পর এ বিষয়ে উন্নত দেশগুলোর অবস্থান কী হবে, সেটি আলোচনায় রাখতে চাইছে বাংলাদেশ।
৬ নভেম্বর শুরু হয়ে মোট ১৩ দিন চলবে এবারের কপ-২৭ সম্মেলন। এবারের আয়োজনে ১৯৮টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান বা তাদের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। তবে গতবার গ্লাসগোতে কপ-২৬-এ অংশ নিলেও এবার মিশর যাচ্ছেন না বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা যায়, শার্ম এল-শেখে বাংলাদেশের এজেন্ডা নিয়ে হাজির হবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জলবায়ু ইস্যুতে কোনো বিষয় কিন্তু সুরাহা হয়নি। ২০২৫ পর্যন্ত ১০০ বিলিয়ন ডলারের যে প্রতিশ্রুতি আছে উন্নত দেশগুলোর, সেটা এখনও পূর্ণ হচ্ছে না। সেটার জন্য একটা সুনির্দিষ্ট আলোচনা দরকার। কীভাবে টাকাটা আসবে তার আলোচনা হওয়া দরকার। গতবারও এটা তোলা হয়েছিল, সে কথাগুলো আবারও তোলা হবে। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসবে কী না সেটা বলা যাচ্ছে না।
২০২৫ এর পর কী হবে সে আলোচনা হওয়াটা খুবই জরুরি। কারণ ২৫ কিন্তু এসে গেছে। উন্নত দেশগুলো আগের অর্থায়ন কীভাবে পূরণ করবে, পরবর্তী সময়ে তারা টাকাটা কীভাবে দেবে বা তাদের এ বিষয়ে চিন্তাধারা কী, এটি খুব বড় করে আলোচনার বিষয়।