1. mympcircle@gmail.com : Md. Jasemuddin : Md. Jasemuddin
  2. jasemruman@gmail.com : mpcircle :
সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি :
‘এমপি সার্কেল’ সংশ্লিষ্ট সকলের সতর্কতার জন্য জানানো যাচ্ছে যে, 'এমপি সার্কেল' এর 'সম্পাদক, প্রকাশক ও স্বত্বাধিকারী' জনাব মোঃ জসীমউদদীন (রুমান) এর ব্যাংক একাউন্ট,  বিকাশ/নগদ/রকেট/উপায় এর '০১৭১২ ৩৯২৫৭০' নম্বরের (পার্সোনাল) একাউন্ট এবং 'জাগো প্রতিদিন' নামীয় অগ্রণী ব্যাংকের চলতি হিসাবের মাধ্যম ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে 'এমপি সার্কেল' এর পক্ষে কোন ধরণের আর্থিক লেনদেন পরিচালিত হয়না। অতএব, অন্যকোন মাধ্যমে 'এমপি সার্কেল' বিষয়ক আর্থিক লেনদেন না করার জন্য সবাইকে নিষেধ করা হচ্ছে। সতর্কতায়:- 'এমপি সার্কেল' ও 'জাগো প্রতিদিন' কর্তৃপক্ষ।

উত্তোলনযোগ্য মজুত গ্যাসে দেশ চলবে ১১ বছর

  • প্রকাশকাল : বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২

এমপি সার্কেল, সংবাদ সংযোগ ডেক্সঃ
বর্তমানে দেশে উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট মজুত ৯ দশমিক শূন্য ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাস ক্ষেত্র থেকে বর্তমানে দৈনিক গড়ে ২৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের বিবেচনায় অবশিষ্ট গ্যাসে প্রায় ১১ বছর (১০ দশমিক ৮ বছর) ব্যবহার করা সম্ভব হবে। নোয়াখালী–৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জাতীয় সংসদে আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন।

নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘দেশে উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য গ্যাস মজুতের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৫৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। শুরু হতে ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত দেশে ক্রম পুঞ্জিত গ্যাসের পরিমাণ ১৯ দশমিক ৫৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট মজুত ৯ দশমিক শূন্য ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাস ক্ষেত্র থেকে বর্তমানে দৈনিক গড়ে ২৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের বিবেচনায় অবশিষ্ট গ্যাসে ১০ দশমিক ৮ বছর ব্যবহার করা সম্ভব হবে।’

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, দেশের সমুদ্রাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য ‘বাংলাদেশ অফশোর মডেল পিএসসি–২০১৯’ হালনাগাদকরণের জন্য নিয়োজিত আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মতামত ও পেট্রোবাংলার নিজস্ব পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে ‘বাংলাদেশ অফশোর মডেল পিএসসি–২০১৯’ পরিমার্জনপূর্বক হালনাগাদ যুগোপযোগীকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ‘অফশোর মডেল পিএসসি–২০১৯ হালনাগাদের পর নতুন বিডিং রাউন্ড আগামী বছরের প্রথম নাগাদ ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, গ্যাসের অপচয় রোধে আবাসিক পর্যায়ে ৪০ লাখ ৬২ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। বাকি আবাসিক পর্যায়ক্রমে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ‘দেশে বর্তমানে বছরে এলপিজির চাহিদা প্রায় ১৪ লাখ মেট্রিক টন। দেশে সরকারি পর্যায়ে উৎপাদন মাত্র ২ শতাংশ। বাকি চাহিদা বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়।’

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক প্রতি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির মূল্য, মার্কিন ডলারের বিনিময় হারের হ্রাস/বৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সমন্বয় করে দেশে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় করা হয়। দেশের বেসরকারি এলপিজি আমদানি নির্ভর হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমলে সরকারের ভর্তুকি ছাড়া দেশের বাজারে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সাশ্রয়ী করার সুযোগ নেই বলে জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, ডিজেল বিক্রয়ে বিপিসি লিটার প্রতি ২১ টাকা লোকসান দিচ্ছে। ভবিষ্যতে যখনই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমবে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

কাজী নাজিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে আটটি গ্রাহক শ্রেণিতে সংযোগকৃত অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী চাহিদা দৈনিক গড়ে ৩৭০০ ঘনফুট। এর বিপরীতে দৈনিক উৎপাদন গড়ে ২৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। অবকাঠামোগত সক্ষমতা থাকলেও বৈশ্বিক সংকটে দৈনিক কমবেশি ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট সমপরিমাণ এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে। গ্রাহকদের চাহিদার বিপরীতে গ্যাস সংকটের পরিমাণ দৈনিক গড়ে প্রায় ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

অন্যদিকে, সরকারের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা প্রায় ১৯শ কোটি টাকা

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা ১ হাজার ৮৯৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের নিকট পাওনা ৯০৫ কোটি ২১ লাখ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিকট ৩৯৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এই তথ্য জানান।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থাসমূহ নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় বিপুল অঙ্কের বিল বকেয়া আছে। তবে তদারকি জোরদার করে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করায় বিগত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়ার পরিমাণ কমানো সম্ভব হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুসারে—গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে ৮৮ কোটি ৪৬ লাখ, জননিরাপত্তা বিভাগের কাছে ৬৪ কোটি ২২ লাখ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬৩ কোটি ৬১ লাখ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নিকট ৪৩ কোটি ৫৬ লাখ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে মন্ত্রণালয়ের পাওনা ৩৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া আদায়ে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া কমানোর জন্য পর্যায়ক্রমে সব গ্রাহককে প্রিপেইড/স্মার্ট মিটারের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫১ লাখ ৭ হাজার ৪৫২টি প্রি-পেইড/স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হয়েছে এবং আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ২০ লাখ প্রি-পেইড/স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হবে।’

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯-১০ অর্থ বছর থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছরে বিদ্যুৎ খাতে ২৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে।’

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমানা আলীর প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত তিন মেয়াদে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ৯৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। যাতে গ্রিড, অফগ্রিড ও ক্যাপটিভসহ মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৭৩০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো লেখা

© একটি 'জাগো প্রতিদিন' প্রচেষ্টা এবং মোঃ জসীমউদদীন (রুমান) কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Site Customized By NewsTech.Com