এমপি সার্কেল, সংবাদ সংযোগ:
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নদীগুলোর বাঁধ ভেঙে গেছে। বন্যার কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। সারাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন করছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যান্যরা বর্ষার দুর্যোগের আবেদনে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু আরও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন।
সালমান সুফি বলেন, জুন থেকে এক হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।পাকিস্তান সরকার জনগণকে সাহায্য করার জন্য সব কিছু দিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আরও আন্তর্জাতিক সমর্থনের প্রয়োজন।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে জুনায়েদ খান এক যুবক বলেছেন, ‘আমরা বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করে যে বাড়িটি তৈরি করেছিলাম, তা আমাদের চোখের সামনে ডুবতে শুরু করেছে। আমরা রাস্তার পাশে বসে আমাদের স্বপ্নের বাড়িটি ডুবতে দেখলাম।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, বন্যায় ৩৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ। চলতি মৌসুমে বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা ২০১০-১১ সালের বন্যার সাথে তুলনীয়, যা রেকর্ডে সবচেয়ে খারাপ বলে উল্লেখ করা হয়।
দেশটির কর্মকর্তারা এ পরিস্থিতি জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন।