এম.পি. সার্কেল, সংবাদ সংযোগ ডেক্স:
এবারের ‘এফ,ও,সি-‘ফরেন অফিস কনসালটেশনের সময় নেপালের সাথে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষর সহ বাংলাদেশ একটি প্রস্তাব পেশ করবে। বাংলাদেশ শুল্ক হ্রাস, অশুল্ক বাধা অপসারণ, প্যারা-ট্যারিফ ব্যবস্থা এবং ঝঅচঞঅ ও অচঞঅ বাণিজ্য চুক্তির অধীনে সংবেদনশীল তালিকার যৌক্তিককরণের জন্য প্রস্তাব জমা দেবে। ঝঅচঞঅ হল সার্ক প্রেফারেনশিয়াল ট্রেডিং এগ্রিমেন্ট এবং অচঞঅ হল এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট।
রিপোর্ট অনুসারে বৈঠকের আগে যে অন্যান্য প্রস্তাবগুলি রাখা হবে তার মধ্যে রয়েছে- দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির (বিআইটি) মডেল চূড়ান্তকরণ, জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা, বিমান যোগাযোগের বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক এবং বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিমান পরিষেবা চুক্তির সংশোধন। এছাড়াও বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল মোটর ভেহিকেল এগ্রিমেন্ট (বিবিআইএন-এমভিএ) এবং বিবিআইএন জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ, নেপালের জন্য অতিরিক্ত ট্রানজিট হিসেবে রোহনপুর-সিংগাবাদের অন্তর্ভুক্তি, কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
আসন্ন এফ,ও,সি নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তিন বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক পিটিএ-র বিষয়বস্তু চূড়ান্ত করার জন্য আলোচনার প্রক্রিয়া চলছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৭৩.৪৭ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ প্রায় ২২টি দেশ থেকে সুতা আমদানি করে। চলতি অর্থবর্ষে নেপালের সাথে বাংলাদেশের মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ যেখানে ৮০ মিলিয়ন ডলার, সেখানে নেপাল থেকে সুতার আমদানির পরিমাণ মাত্র ১-২ মিলিয়ন ডলার।