এমপি সার্কেল, অর্থ-বাণিজ্য ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডেক্স:
বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে তদারকি বাড়াতে রপ্তানি তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকের রপ্তানি সংক্রান্ত সব তথ্য এখন থেকে আর কাগজে নেবে না বাংলাদেশ ব্যাংক। এত দিন অনলাইনের পাশাপাশি প্রতি মাসে কাগজে রপ্তানি তথ্য জমা দিত ব্যাংকগুলো।
রোববার (৩ মার্চ) নতুন সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থা পেপার লেস (কাগজবিহীন) করা ও লেনদেন তথ্য নিয়মিত তদারকি করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ বা ব্যবসায় পরিবেশ সহজ হবে। এ জন্য ‘অনলাইন ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন মনিটরিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফএক্স ড্যাশবোর্ড) ’ চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ড্যাশবোর্ডের তথ্য পর্যালোচনা করে বৈদেশিক মুদ্রা বাজার তদারকি ও প্রতিটি লেনদেন সহজেই আরও নিবিড় তদারকির আওতায় আনা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্য যেমন: রপ্তানির পরিমাণ, আয়, বকেয়া হলে সেটির কারণ, মামলার বিষয়, রপ্তানি বিল, রপ্তানি আয়ের বিষয়ে উদ্যোক্তাদের দাবি ইত্যাদি এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনলাইনে জমা দিতে হবে। রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসনের সার্টিফিকেট (সনদ) দিতে হবে অনলাইনে।
নির্ধারিত সার্ভারে রপ্তানি সংক্রান্ত কোনো অতিরিক্ত তথ্য থাকলে তাও জানাতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, বকেয়া হওয়া রপ্তানি আয়ের তথ্য প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘অনলাইন এক্সপোর্ট মনিটরিং সিস্টেম (ওইএমএস) ’–এ জমা দিতে হবে। রপ্তানি আয় বকেয়া হওয়ার কারণ ও তা দেশে আনতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে নেওয়া উদ্যোগগুলোও জানাতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।