এমপি সার্কেল, সাক্ষাৎকার ও আলোকায়ন ডেক্স:
বাইশকে বিদায় জানিয়ে উদ্ভাসিত হয়েছে তেইশের নতুন সূর্য। গেল বছরটার টেলিভিশন তারকাদের পক্ষেই ছিলো, প্রতিভা গুণে অনেকেই স্বাক্ষর রেখেছেন তাদের কর্মে, জ্বলে উঠেছেন স্ব-মহিমায়। পুরনো হিসাব ভুলে নতুন উদ্যমে নতুন ছক কষছেন সকলেই। নতুন বছরে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চান অনেকেই। নতুন বছরের এ আয়োজনে তেমনই কিছু প্রত্যাশা ও কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন জনপ্রিয় তারকা তাসনিয়া ফারিণ।
টেলিভিশনের পাশাপাশি ওটিটি কনটেন্ট দিয়েও গেল বছর আলোচনায় ছিলেন। আপনার কাছে বছরটা কেমন ছিল?
আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো। করোনা পরিস্থিতির কারণে কোথাও খুব একটা ঘুরতে পারিনি কিন্তু বাইশে সেটা পেরেছি। অনেক জায়গায় ঘুরেছি। আর কাজের কথা যদি বলি, যেসব ধরণের কাজ করতে চেয়েছি ঠিক সেসব কাজ করতে পেরেছি। সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালো গিয়েছে।
বছরান্তে প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি কি?
আমার কাছে প্রাপ্তির সংজ্ঞাটা একটু ভিন্ন। প্রাপ্তি বলতে বুঝি, আমি ভালো আছি কিনা, আমার আশেপাশের সবাই ভালো আছে কিনা বা মানসিকভাবে কতটুকু খুশি আছি! আমার কাছে এটাকেই অ্যাচিভমেন্ট বা অর্জন বলে মনে হয়। এটা ছিলো আমার। কাজ নিয়েও অনেক বেশি আনন্দিত। খুব বেশি যে কাজ করেছি, তা না কিন্তু তারপরও যতটুকু করতে পেরেছি এতেই আমি খুশি। যেমন-টেলিভিশন, ওটিটি, বড় পর্দায় কাজ করার ইচ্ছে ছিলো, তার সবই করেছি। তবে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া বেশ ঝুকিপূর্ণ ছিলো তারপরও কাজ করেছি এবং যা পেয়েছি যথেষ্ঠ। এক কথায় যদি বলি, আমার যেটা টার্গেট ছিলো সেটা পূরণ করতে পেরেছি।
যেহেতু আমি কখনোই কোন প্রত্যাশা রাখি না তাই যা পাই সেটাই আমার কাছে অনেক বেশি মনে হয়। জীবন থেকে আমার তেমন কোন চাহিদা নেই, যদি কিছুটা থাকে সেটাও অল্প অল্প। সে জায়গা থেকে যে সুযোগটা পাই চেষ্টা করি তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে। সেদিক থেকে আমার কোন অপ্রাপ্তি নেই।
নতুন বছরের ভাবনা…
ভাবনা তেমন কিছু না। আমি শুধু মানসিকভাবে শান্তিতে থাকতে চাই। কারণ, এমন একটা জায়গায় কাজ করি আমরা যেখানে সবার আগে মানসিক শান্তি, মানসিক সুখটা চলে যায়। এটা বজায় রেখে যতটুকু সম্ভব চলার চেষ্টা করবো অনেস্টলি। এ বছর আমার ‘আরও এক পৃথিবী’ সিনেমাটা মুক্তি পাবে, ফেব্রুয়ারিতে। এটা আমার জন্য অনেক বেশি ভালো। নিজেকে বড় পর্দায় দেখতে পারবো। আর এ বছর দেশীয় সিনেমাতেও দেখা যেতে পারে। তাহলে ষোলকলা পূর্ণ হবে।
অন্যান্য অনেকের মতোই হঠাৎ করে কাজের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন। সেটা কেন?
গতবারের মত এবারও কাজের পরিমাণ হয়তো কম থাকবে। কারণ, যা পাই তা তো আর করবো না। ভালো স্ক্রিপ্ট তো পাচ্ছি না। ভালো স্ক্রিপ্ট পেলে শুধু সেগুলোতেই কাজ করবো, সেটা যেকোন মাধ্যম হতে পারে। এখন যে ধরণের ট্রেন্ড চলছে নাটকে বা যেসব ট্রেন্ডি কাজ হচ্ছে সেগুলোতে আমি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছি না। তাই ভালো গল্পের অপেক্ষা করছি। ট্রেন্ড বলেই যে সবার সাথে আমাকেও করতে হবে, বিষয়টা এমন না। আমি যেসব গল্প বা চরিত্রে কমফোর্ট পাবো সেসব কাজের জন্য এখন অপেক্ষা করছি। আমি দুইদিনের অতিথি না যে কিছুদিন কাজ করলাম এরপর চলে গেলাম। আমি দূর পথের যাত্রী। আমার স্বপ্ন অনেক দূর। তাই ট্রেন্ডে নিজেকে ভাসাতে চাই না।