এমপি সার্কেল, আনন্দ-বিনোদন ও বিশেষ প্রতিবেদন ডেক্স:
পর্দা উঠল চলচ্চিত্র নিয়ে দেশের বৃহত্তম আয়োজন ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। শনিবার উৎসবটির ২২তম আসরের পর্দা উঠেছে।
রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর।
নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। বাংলা সিনেমার পুরনো দিনের কিছু কালজয়ী গানে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীরা। এরপর শুরু হয় বক্তব্য পর্ব।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল। তিনি বলেন, ‘এই উৎসবটি করার জন্য আমাদের টিম গোটা বছর ধরে কাজ করে। বছর জুড়ে পরিশ্রমের প্রতিফলন আজ দেখা যাচ্ছে। শত প্রতিকুলতার মধ্যেও আমরা চেষ্টা করেছি একটা ভালো উৎসব দেওয়ার জন্য। ৭৪টি দেশের ২৫২টি ছবি দেখানো হবে এবার। আমাদের সেগমেন্টগুলোর মাধ্যমে দর্শক উপকৃত হবে। আর তরুণ নির্মাতা মাস্টারক্লাসগুলোতে অংশ নিয়ে নিজেদের আপগ্রেড করতে পারবে। এই যাত্রায় অনেকেই আমাদের সহযোগিতা করছেন। তবে এখনও পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা আমরা পাইনি। তবু আশা করি, অচিরেই সেটা সম্ভব হবে।’
বক্তব্য পর্ব শেষে উৎসবের উদ্বোধনী সিনেমা ‘ফেরেশতে’র নির্মাতা-শিল্পীরা মঞ্চে ওঠেন। তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর ছবিটি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক উৎসবের পর্দা উঠল। ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম নির্মিত ছবিটিতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, সুমন ফারুক, রিকিতা নন্দিনী শিমু প্রমুখ।
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ -এই স্লোগানে উৎসবটির আয়োজন করছে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত। আগামী ২৮ জানুয়ারি এর পর্দা নামবে।
এবারের উৎসবে মাস্টারক্লাস নেবেন ইরানের নন্দিত নির্মাতা মাজিদ মাজিদি, চীনের সাংহাই ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান শি চুয়ান ও কলকাতার গুণী চলচ্চিত্রকার ও সংগীতশিল্পী অঞ্জন দত্ত। এছাড়াও দেশ-বিদেশের অনেক তারকা উৎসবে অংশ নিচ্ছেন।
এবারের উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম সেশনে বাংলাদেশসহ ৭৪টি দেশের ২৫২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এরমধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১২৯টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১২৩টি। আর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র থাকছে ৭১টি।
উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর স্থানগুলো হচ্ছে- জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, নৃত্যশালা মিলনায়তন, অঁলিয়স ফ্রঁসেজ মিলনায়তন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমি মিলনায়তন। এসব মিলনায়তনের সব প্রদর্শনী বিনা মূল্যে উপভোগ করা যাবে।