এমপি সার্কেল, অর্থ-বাণিজ্য ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান:
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর শুরু হচ্ছে আজ। রোববার (২১ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা।
এবার মেলায় আগের তুলনায় স্টলের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে গতবারের শত কোটি টাকার বেচাকেনা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন আয়োজকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাসব্যাপী মেলা ঘিরে মূল ফটকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় প্রতিকৃতি নির্মাণ করা হয়েছে। ফটকটি চট্টগ্রামে চালু হওয়া বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। আর মেলার মূল প্যাভিলিয়ন বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির আদলে তৈরি করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। মেলার স্থায়ী এই প্রাঙ্গণে তৃতীয়বারের মতো দেশ-বিদেশের ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা মিলিত হবেন। স্টল মালিকটা স্টল তৈরির কাজ সেরে নিচ্ছেন। দেশি-বিদেশি পণ্য প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় আসরটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো। গত বছরের তুলনায় এবার মেলার পরিধি বেড়েছে। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার আয়তনের দুটি হল রয়েছে।
এছাড়া প্রদর্শনী কেন্দ্রটির সামনে-পেছনে একাধিক প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। স্টলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০টি। যা গত বছর ছিল ৩৩১টি। দেশীয় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, হংকং, ইরান, ভারত ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ নেয়া ব্যবসায়ীরা মেলায় নিজেদের পণ্য বিক্রি করবেন।
গতবারের তুলনায় এবার প্রবেশমূল্য বেড়েছে। সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা ও ১২ বছরের কম বয়সীদের জন্য ২৫ টাকা টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে। যা গত বছর ছিল যথাক্রমে ৪০ ও ২০ টাকা।
উদ্বোধনের আগমুহূর্তে মেলায় স্টল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন দেশি-বিদেশি স্টল মালিকরা। মেলা প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো স্টল নিয়েছেন জারিন ফ্যাশনের ইনচার্জ রনি আহমেদ। তিনি বলেন, প্রথমবার স্টল নিয়েছি। নির্মাণকাজ শেষের দিকে। উদ্বোধনের আগেই সবকিছু তৈরি হয়ে যাবে।
সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন উল্লেখ করে বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব বিবেক সরকার বলেন, সব ধরনের প্রস্তুতি সেরেছি আমরা। আশা করছি, খুব ভালোভাবে এবারের আসরের পর্দা উঠবে এবং গতবারের বেচাকেনা ছাড়িয়ে যাবে। মেলা প্রাঙ্গণের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। বিশেষ নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা আওতায় থাকবে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ।
প্রসঙ্গত, গত বছর মাসব্যাপী মেলায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া ৩০০ কোটি টাকার রপ্তানির অর্ডার মিলেছিল। ওই বছর ৩০ থেকে ৩৫ লাখ দর্শনার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন বলে জানান আয়োজকরা।