এমপি সার্কেল, শিক্ষার্থী-শিক্ষাঙ্গন ও প্রতিষ্ঠান ডেক্স:
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটা অর্থাৎ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের জন্য নির্ধারিত আসন রাখার সুযোগ নেই বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। তিনি পোষ্য কোটা প্রথা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) ইউজিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অংশীজনের সঙ্গে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মতামত দেন।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনসংখ্যা ৬০ হাজারের কিছু বেশি। অর্থাৎ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরাই তাদের কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় ও পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটা রাখার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবশ্যই পোষ্য কোটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিষয় পড়ানো হবে, শিক্ষার্থীসংখ্যা কত হবে, তা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে কমিশন পরিকল্পনা করছে। ইউজিসির মূল লক্ষ্য উচ্চশিক্ষায় গুণগত মান বজায় রাখা ও গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি সেগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া। সভায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মির্জা হাসানুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. রাজু আহম্মেদ, ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভীন ও মো. শাহীন সিরাজসহ ইউজিসি ও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
গত ২৬ জুলাই এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাস করেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন শিক্ষার্থী। এ পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।