এমপি সার্কেল, সংবাদ সংযোগ ডেক্স:
বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা চতুর্থ দফার অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম রয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে বাড়ছে মানুষের উপস্থিতিও। সড়কে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ।
রোববার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে এমন চিত্র দেখা যায়।
রাজধানীর উত্তরা, বনানী, মহাখালী, শাহবাগ, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, তেজগাঁও, বাংলামোটর, হাতিরঝিল, রামপুরা, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, আজিমপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই সড়কে মানুষ ও গণপরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা কম ছিল।
আনিছুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, সড়কে যান চলাচল কিছুটা কম। বাস কম আসছে। মানুষ বাসস্ট্যান্ড গুলোতে অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
বরুনা শীল নামে এক দন্ত চিকিৎসা প্রার্থী বলেন, খিলক্ষেত থেকে মগবাজারে যাচ্ছি। সড়কে যান কম থাকলেও মানুষ এখন কাজের তাগিদে ঘর থেকে বেড় হচ্ছে। প্রথম দিকের অবরোধগুলোতে মানুষ আতংকে ঘর থেকে কম বের হয়েছে। তাই কয়েকদিন বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি অনেক কম চলাচল করেছিল। সকালে ডাক্তারের চেম্বারে যেতেও ভয় পেয়েছি।
জাবেদ নামে এক গাড়িচালক বলেন, কাল ও আজকে ঢাকায় অনেকগুলো বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। তাই অনেক গাড়িচালক ভয়ে গাড়ি বের করছে না। কিন্তু ঘর চালাতে কাজ করতেই হবে। তাই গাড়ি নিয়ে সড়কে বের হয়েছি।
তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়কে গাড়ি নিয়ে টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল গনি সাবু বলেন, অবরোধের কোনো প্রভাব নেই। যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। মানুষজন স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকার পতনের এক দফা দাবিতে এর আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। তারপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায়, ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। আর আজ থেকে শুরু হলো চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ।