এমপি সার্কেল, সংবাদ সংযোগ ডেক্স:
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে তেমন কোনো প্রভাব পরেনি। সকাল থেকেই যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। তবে, রাজধানীর গাবতলী, কল্যাণপুর ও সায়েদাবাদ থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। সকালে অধিকাংশ বাস কোম্পানির কাউন্টারই বন্ধ দেখা গেছে। বরাবরের মতো আতঙ্কের মধ্যেই পরিবহন মালিকরা বাস চালাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর গাবতলী, শ্যামলী, ধানমন্ডি, ফার্মগেট এবং বাংলামটর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে অবরোধের তেমন কোনো প্রভাব নেই। সকালের দিকে যানবাহন সবসময় কিছুটা কম থাকে, সে হিসেবে এখনও কম আছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল বাড়তে থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
সকালে গণপরিবহন চলার পাশাপাশি বিভিন্ন অফিসের পরিবহন রাস্তায় দেখা গেছে। কর্মীদের অফিসে নিতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বাস বা মাইক্রোবাসও রাস্তায় চলছে। এছাড়া গণপরিবহন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় গন্তব্যে যেতে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না যাত্রীদের। অবরোধের শুরু থেকেই যেকোনও নাশকতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারা প্রতিটি মোড়ে অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি টহল টিমের মাধ্যমে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতের চেষ্টা করছেন। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে চেক করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অবরোধের সমর্থনে কোন ধরনের কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
অবরোধের কারণে দূরপাল্লার গাড়ি চালাতে না পারায় পরিবহন শ্রমিকদের আয়-রোজগারে টান পড়েছে। স্টাফদের দৈনিক খরচ দিতে পারছে না মালিকরা। বাজারের বর্তমান ঊর্ধ্বগতিতে সবাই বিপদে পড়েছে। যদিও অবরোধের মধ্যেও সারাদেশে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে মালবাহী পিকআপ, ট্রাকও চলাচল করেছে নির্বিঘ্নে। কিন্তু পুলিশ দূরপাল্লার বাসগুলোকে প্রটোকল দেওয়ার ঘোষণা দিলেও মালিকরা ভয়ে রাস্তায় বাস নামাচ্ছেন না। উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপির তৃতীয় দফায় দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি চলছে। বুধবার সকাল ৬টায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত।