এমপি সার্কেল, উদ্যোগ-উদ্যোক্তা ও বন্ধু চক্র ডেক্স:
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানের মুদ্রার মান আরও কমেছে। দেশটির খোলাবাজারে প্রতি গ্রিনব্যাক বিক্রি হচ্ছে ২৮৬ পাকিস্তানি রুপিতে। আর আন্তঃব্যাংকে তা কেনা হচ্ছে ২৮৩ রুপিতে। এক্সচেঞ্জ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তান (ইসিএপি) এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে ডলারের বিপরীতে মূল্যমান হ্রাস পেয়েছে ৩ দশমিক ৫০ পাকিস্তানি রুপি।
ইতোমধ্যে পাকিস্তানকে ঋণ অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বৈশ্বিক আর্থিক গোষ্ঠীটির শর্ত অনুযায়ী, নির্ধারিত কাঠামোগত বেঞ্চমার্কের অধীনে আন্তঃব্যাংক ও খোলাবাজারে পাকিস্তানি রুপির ব্যবধান থাকতে হবে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। বর্তমানে যা বেশি রয়েছে।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা বেড়েছে। মূলত এ কারণেই রুপির পতন ঘটছে। দেশটিতে গাড়ি, সিমেন্ট ও জ্বালানি পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পাকিস্তানি মুদ্রার ব্যাপক দরপতন ঘটেছে।
শিল্পপতিরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন দেশটির অর্থনীতিতে আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার্স অব কর্মার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সদস্য মুহাম্মদ আলি শেখ জানান, পাকিস্তানি রুপির বড় অবনমন অর্থনীতিকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
তিনি বলেন, দেশীয় মুদ্রার উত্থান ছাড়া শিল্প খাতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালানো এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানের রুপির মান বাড়াতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।