এমপি সার্কেল, সুশাসন চক্র ডেক্স:
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের উদ্যোগে অগ্নি-সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের অফিসে উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে বাসমালিক এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তেজগাঁও (ট্রাফিক) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, তেজগাঁও (ক্রাইম) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (তেজগাঁও জোন) রুবাইয়াত জামান পিপিএম, তেজগাঁও (ট্রাফিক) বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, টিআই এবং বাস মালিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অগ্নি-সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে পরিবহন মালিকগণ তাদের মতামত তুলে ধরেন। এরপর ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার পরিবহন মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অগ্নি-সন্ত্রাস, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগে দায়িত্ব পালনের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সকলকে সহযোগিতার আহবান জানান।
ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও নাশকতা প্রতিরোধে নিম্নোক্ত বিষয়াদি গুরুত্ব সহকারে বাস্তবায়নে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেন:
১. বাস ড্রাইভার ও হেল্পারদের প্রতিটি স্টপেজে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রয়োজনে বাসগুলোতে সিসিটিভি বসানো যায় কিনা তা বিবেচনার পরামর্শও দেন ।
২. গাড়ির হেলপার ও সহযোগীকে মোবাইল ক্যামরার মাধ্যমে বাসে যাত্রীদের ছবি ও ভিডিও ধারণের মাধ্যমে সকলকে সচেতন করা। “অপরিচিতদের কাছ থেকে কিছু খাবেন না, পাশেরজন সম্পর্কে সচেতন থাকুন”- রাস্তাঘাটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর এটি একটি অতিপরিচিত কার্যকর সনাতন পদ্ধতি। এই পদ্ধতি অবলম্বন করেই হেল্পাররা যাত্রীদের সচেতনমূলক বক্তব্য প্রদান করার মাধ্যমে সম্ভাব্য দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করবে, নাশকতাকারীদের প্রমাণাদি রাখবে।
৩. গত কয়েকদিনের ঘটনা দেখে এটাই পরিষ্কার হয় যে, রাত ও ভোর বেলার যাত্রীহীন যানবাহনই দুষ্কৃতিকারীদের টার্গেট। এ বিষয়ে সবাইকে সর্তক করে রাত্রীকালীন নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি সারাক্ষণ নজরদারি রাখার নির্দেশনা দেন ।
৪. সকল গাড়িতে অবশ্যই অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে চালক ও হেল্পারদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে পরিবহন মালিকগণকে পরামর্শ দেন।
৫. কোন যানবাহন যাতে দুই একজন যাত্রীর আশায় ফাঁকা রাস্তায় না দাঁড়ায় সেই বিষয়ে সর্তক করার পাশাপাশি পুলিশ ডিউটিরত জায়গায় যাত্রী উঠানামা করার পরামর্শ দেন।
৬. সামনের ও মাঝখানের সিট ফাঁকা রেখে কেউ যাতে ইচ্ছাকৃতভাবে পিছনে না বসে সেই বিষয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি সন্দেহজনক মনে হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর জন্য পরামর্শ দেন।
৭. নির্দিষ্ট স্টপেজ ব্যতীত যাত্রী না উঠানোর পরামর্শ দেন।
৮. জরুরী প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার আহবান জানান।