এমপি সার্কেল, সংবাদ সংযোগ ডেক্সঃ
গত বাইশ বছরে কোয়ান্টাম ল্যাবে প্রায় সাড়ে ৪৭ হাজার মহিলা রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। পুরুষের পাশাপাশি মহিলা রক্তদাতাদের এমন স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের অনুপ্রেরণা যোগানোর পাশাপাশি দেশের আট থেকে দশ লাখ ইউনিট রক্তের চাহিদা মেটাতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে এই উদ্যোগ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে কোয়ান্টাম আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে একথা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
সকল স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, রক্তদানের মাধ্যমে স্বেচ্ছা রক্তদাতারা একজন মানুষকে নতুন জীবন দান করছেন। অন্যের শরীরে বহন করা সেই রক্তের মধ্যেই তারা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন।
ব্যাংকিং এন্ড ট্রেনিং কনসালটেন্ট অর্থনীতিবিদ সুকুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা জানান, কোয়ান্টাম ল্যাবে বিভিন্ন সময়ে রক্ত দিয়েছেন এ পর্যন্ত এমন মহিলা ডোনারের সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার ৬৬১ জন। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৬৫ জন মহিলাকে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৮২ ইউনিট রক্ত সেবা দিতে পেরেছে কোয়ান্টাম। এছাড়া ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭৮ জন শিশুকে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৯৮৪ ইউনিট রক্ত দিয়ে সেবা দেয়া হয়েছে।
শিশু ও মহিলা থ্যালাসেমিয়া রোগীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৪৫ হাজার ৩৮১ জন শিশু এবং ১৪ হাজার ৩০৭ জন মহিলা থ্যালাসেমিয়া রোগী রক্ত সেবা নিয়েছেন। এর মধ্যে গত দুই বছরে ২ হাজার ৩৩৭ জন শিশু ও ১ হাজার ১০১ জন মহিলা নির্ধারিত দিন পরপর নিয়মিত সেবা নিতে পেরেছেন।
অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৩ বার, ১০ বার অথবা ২৫ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন-এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সনদপত্র, আইডি কার্ড ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এসময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন ডা. সারিয়া তাসনি এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়া রোগী মাইশা বিনতে সাহাদাৎ।
২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় দুই দশকের যাত্রায় কোয়ান্টাম গড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ স্বেচ্ছা রক্তদাতার সুসংগঠিত ডোনার পুল। এর মধ্যে অর্ধ লক্ষাধিকই নিয়মিত রক্তদাতা। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪ লক্ষাধিক ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করেছে এই সংগঠন।