1. mympcircle@gmail.com : Md. Jasemuddin : Md. Jasemuddin
  2. jasemruman@gmail.com : mpcircle :
সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি :
‘এমপি সার্কেল’ সংশ্লিষ্ট সকলের সতর্কতার জন্য জানানো যাচ্ছে যে, 'এমপি সার্কেল' এর 'সম্পাদক, প্রকাশক ও স্বত্বাধিকারী' জনাব মোঃ জসীমউদদীন (রুমান) এর ব্যাংক একাউন্ট,  বিকাশ/নগদ/রকেট/উপায় এর '০১৭১২ ৩৯২৫৭০' নম্বরের (পার্সোনাল) একাউন্ট এবং 'জাগো প্রতিদিন' নামীয় অগ্রণী ব্যাংকের চলতি হিসাবের মাধ্যম ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে 'এমপি সার্কেল' এর পক্ষে কোন ধরণের আর্থিক লেনদেন পরিচালিত হয়না। অতএব, অন্যকোন মাধ্যমে 'এমপি সার্কেল' বিষয়ক আর্থিক লেনদেন না করার জন্য সবাইকে নিষেধ করা হচ্ছে। সতর্কতায়:- 'এমপি সার্কেল' ও 'জাগো প্রতিদিন' কর্তৃপক্ষ।

দেশের কল্যাণেই রিজার্ভের টাকা ব্যয় হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

  • প্রকাশকাল : শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২

এমপি সার্কেল, সংবাদ সংযোগ ডেক্সঃ
দেশের কল্যাণেই রিজার্ভের টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জনগণ ও দেশের জন্যই এই টাকা ব্যয় হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার এক টাকাও অপচয় করেনি।

১২ নভেম্বর ২০২২(শনিবার) সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের উদ্বোধনের সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, রিজার্ভ নিয়ে অপপ্রচারের চেষ্টা করছে বিএনপি। বিএনপির সময় রিজার্ভের ঘাটতি ছিল, সেটা ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করে আওয়ামী লীগ সরকার।

সরকার প্রধান বলেন, চুরি করে অর্থ সম্পদের হয়েছে বিএনপি নেতারা। আওয়ামী লীগ একটি টাকাও অপচয় করেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিরোধী দল থেকে প্রায়ই রিজার্ভের টাকা গেল কোথায় এ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন করে। সেই সঙ্গে সঙ্গে সারা বাংলাদেশে একটা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করে। তাদের আমি বলতে চাই, বিএনপির যখন ক্ষমতায় ছিল তখন রিজার্ভ ছিল মাত্র ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এটা বৃদ্ধি পেয়েছিল মাত্র ৫ বিলিয়নের মতো। সেই জায়গা থেকে আমরা এই রিজার্ভ প্রায় ৪৮ বিলিয়নের কাছাকাছি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হই।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে যোগাযোগ-যাতায়াত-আমদানি সবকিছু পায় বন্ধ ছিল। যখন এই যোগাযোগটা খুলে গেছে, তখন আমাদের আমদানি করা, বিশেষ করে সারা বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক যে মন্দা দেখা দিয়েছে, তার আঘাতটা আমাদের দেশে এসে পড়েছে। আজকে রিজার্ভের টাকা থেকে আমাদের যেমন আমদানি ব্যয় মেটাতে হচ্ছে, পাশাপাশি আমরা বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাও বিনা পয়সায় করেছি। পৃথিবীর উন্নত কোনো দেশ বিনা পয়সার টেস্টের ব্যবস্থা করেনি, ভ্যাকসিনও দেয়নি। আমরা নগদ টাকা দিয়ে প্রথমে ভ্যাকসিন কিনি। এরপরে আমরা অনুদান পেয়েছি। আমরা কিন্তু নগদ টাকা দিয়ে কিনি।
খাদ্যপণ্যের দাম কিন্তু সারা বিশ্বে বেড়ে গেছে। পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে। জ্বালানি-ভোজ্য তেল, গম, ভুট্টা, ডাল—যা কিছু আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে। আমরা চাল উৎপাদন করছি, খাদ্য উৎপাদন করছি। আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ, তারপরও আমাদের আমদানি করতে হয়। যখন বন্যা-ঘূর্ণিঝড়ে ফসল নষ্ট হলো তখন আমাদের ফসল আমদানি করতে হয়েছে। আমরা যেটুকু খরচ করেছি সেটা জনগণের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে। জনগণের খাদ্য, ক্যানসারের ওষুধ কেনা…জনগণের মঙ্গলের জন্য আমাদের করতে হয়েছে। সার, জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ আমাদের কিন্তু কিনতে হচ্ছে। নগদ টাকা দিয়ে আমরা কিনছি। তা ছাড়া, আমাদের রিজার্ভের টাকা দিয়ে আমরা কিন্তু বিমান কিনেছি। নদী ড্রেজিং, সেটাও আমরা নিজেদের রিজার্ভের টাকা দিয়ে করছি, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কিছু কিছু আমরা বিনিয়োগ করছি এই কারণে সেটা হলো, আমরা যদি অন্য দেশ থেকে লোন নিই আমাকে সুদসহ সেই ডলার পরিশোধ করতে হয়। আমাদের ডলার যদি আমরা খরচ করি, আমরা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে দিচ্ছি, তাতে করে সুদসহ টাকাটা…আমাদের দেশের টাকা দেশেই থেকে যায়। সেটাকে লক্ষ করে ৮ বিলিয়নের মতো আমরা খরচ করেছি। যখন শ্রীলঙ্কা খুব অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে তাদেরকেও কিছু টাকা আমরা ধার দিয়েছি।

এখানে কিন্তু পয়সা কেউ তুলে নিয়ে চলে যায়নি। তাদের মনে সব সময় ও রকম ভয় থাকে, এ কথা তারা বলে। বিএনপি বিশেষ করে বলবে। বলার কারণটা হচ্ছে, তাদের নেতা তারেক জিয়া মানি লন্ডারিং কেসে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড পেয়েছে এবং সে পলাতক আসামি। মানি লন্ডারিং যাদের অভ্যাস তারা শুধু ওইটাই জানে টাকা বোধ হয় সব নিয়ে যেতে হয়। আওয়ামী লীগ সরকার এ দেশের একটা অর্থও অপচয় করে না। প্রতিটি অর্থ ব্যয় করে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে-কল্যাণে এবং তাদের ভালো-মন্দ দেখে, বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি, গিলেও খায়নি আর নিয়েও যায়নি। তবে হ্যাঁ, বিএনপি বলবে। তারা নিজেরা চুরি করে অর্থ-সম্পদ বানিয়েছে। কারণ তাদের তো কিছুই ছিল না। জিয়াউর রহমান যখন মারা যায়, আমরা ৪০ দিন টেলিভিশনে দেখেছি, ভাঙা স্যুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জি ছাড়া কিছু রেখে যায়নি। পরবর্তীতে দেখি হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক তারা। জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করেই তারা তা হয়েছে।

দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৭টায় ফোন পেলাম। বললো, আপা আপনার জন্য ইলিশ পাঠিয়েছি। সাড়ে ৭টায় ম্যাসেজ পেলাম, সাড়ে ৯টায় ইলিশ চলে আসলো। এটা হলো সড়ক যোগাযোগটা সহজ হওয়া কারণে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি নিজেরা চুরি করে অর্থ সম্পদ বানিয়েছে। জিয়া মারা যাওয়ার সময় একটা সুটকেস ছাড়া কিছু রেখে যায়নি। পরে দেখি হাজার হাজার কোটি টাকা। মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক রহমানের সাত বছরের সাজা হয়েছে, একারণে তাদের মুখে সমালোচনা মানায় না বলে এসময় তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বদলে গেছে। একটি মানুষও গৃহহীন, ভূমিহীন থাকবে না আমরা বলেছি। যত টাকা, সব আমরা মানুষের কল্যাণে খরচ করছি। করোনায় সহায়তা দিয়েছি। প্রণোদনা দিয়েছি। মালিকদের হাতে না দিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে সরাসরি শ্রমিকদের হাতে দিয়েছি। কৃষকদের ভর্তুকি দিচ্ছি। মানুষের কল্যাণই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছি।
আসন্ন বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের ফসল উৎপাদন করতে হবে, খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। প্রতিটি বক্তৃতায় একথা বলি। পৃথিবীর কোথাও দুর্ভিক্ষ হলেও বাংলাদেশে যেন ধাক্কা না লাগে।

সবাইকে উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে। বিশ্বব্যাপী একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত, তারপর করোনা, তার ওপর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা; যার ফলাফলে আজকে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম-পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে নিজেদের সফল উৎপাদন করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন, পুষ্টি নিশ্চয়তার ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের মাটি মানুষ আছে, আমরা তা করতে পারবো। যাদের নিজের জমি আছে সেখানে যাতে চাষ হয় সে ব্যবস্থা নেবেন। যদি কখনো বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় আমাদের বাংলাদেশে যেন সেই ধাক্কা কোনোভাবেই না লাগে। আমাদের সাবধানতা আমাদেরই নিতে হবে।

আমরা চাই, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। আমরা বঙ্গবন্ধু টানেল, এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল তৈরি করছি। সবগুলোতেই আমাদের টাকা খরচ করতে হচ্ছে। রিজার্ভের টাকা তো লাগছে। এটা তো বাস্তবনা। মানুষের যোগাযোগ-চলাচল আরও সহজ হয় যাতে তার ব্যবস্থা করছি। আমরা সড়ক, নৌ, রেল ও আকাশ পথ; সবগুলোর ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছি। এটা আকাশ থেকে পড়েনি। বেশিরভাগ কাজ আমরা নিজেদের অর্থ দিয়ে করছি। যেন কারো কাছে হাত পেতে চলতে না হয়, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করে দিচ্ছি চলাচল ও পরিবহন সহজ হয় যাতে। নৌ, সড়ক, আকাশপথ সহজ করেছি। এগুলো আকাশ থেকে পড়েনি। উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যেতে হবে।

উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল হয়ে নবীনগর মোড় এবং ইপিজেড হয়ে চন্দ্রা মোড় পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শীর্ষক এই প্রকল্প ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার সঙ্গে ৩০টি জেলার সংযোগ স্থাপনকারী আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া ও বাইপাইল-চন্দ্রা করিডোরে যানজট অনেকাংশে কমবে।

প্রকল্পের আওতায় সাভার ইপিজেড থেকে নবীনগর সড়কে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি সেতু নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। চীনের সহায়তায় প্রকল্পটি পরিচালিত হবে।

 

সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো লেখা

© একটি 'জাগো প্রতিদিন' প্রচেষ্টা এবং মোঃ জসীমউদদীন (রুমান) কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Site Customized By NewsTech.Com