এম.পি. সার্কেল, সংবাদ সংযোগ ডেক্স:
প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার দ্বৈত ভোটার রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র সার্ভারে। এসব ভোটারদের নিয়ে করণীয় নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছে ইসি। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বৈত ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখ ২৯ হাজার ৯৯১ জন এবং একই সময়ে ইসির সার্ভারে ম্যাচ ফাউন্ড ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৩২ জন।
লিখিত প্রতিবেদনে হুমায়ূন কবীর জানিয়েছেন, দ্বৈত ভোটার হওয়ার প্রবণতার পেছনে রয়েছে ১০টি কারণ:
অনিচ্ছাকৃত ও অজ্ঞতাজনিত কারণে হাসিল করা-
০১) অজ্ঞতা
০২) ভোটার হিসাবে নিবন্ধনের পর এনআইডি কার্ড মুদ্রণ ও বিতরণে দীর্ঘসূত্রিতা অর্থাৎ সঠিক সময়ে এনআইডি কার্ড হাতে না পাওয়া
০৩) দ্বৈত ভোটার হওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ—এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রচার প্রচারণার অভাব
০৪) বিবাহজনিত কারণে (মহিলা ভোটারদের পিত্রালয়ে ভোটার হওয়া এবং পরবর্তীতে স্বামী/শ্বশুর বাড়িতে পুনরায় ভোটার হওয়া)
০৫) তালাকপ্রাপ্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে স্বামীর নাম গোপন করে ভোটার হওয়া
০৬) ভাসমান ভোটার
বিভিন্ন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করা—
০৭) বিদেশ গমন
০৮) সরকারি চাকরিলাভ
০৯) অন্যের সম্পত্তি দখল
১০) অপরাধ সংঘটনের পর তা থেকে মুক্তিলাভ
ম্যাচ ফাউন্ডের ধরন সম্পর্কে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের সাথে ম্যাচ ফাউন্ড, এগুলোই সাধারণত দ্বৈত ভোটার। অন্যের সাথে ম্যাচ ফাউন্ড, যা দ্বৈত ভোটার নয়। ক্ষেত্র মতে, অফিস ম্যাচিংয়ে ধরা না পড়লে অর্থাৎ ম্যাচ ফাউন্ড না হলে দ্বৈত ভোটার হওয়া সত্ত্বেও দুটি এনআইডি ডাটাবেইজে অ্যাকটিভ থাকে।
যারা দ্বিতীয়বার ভোটার হয়েছেন এবং এনআইডি নিয়েছেন, সেসব ভোটারের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া অফিস ম্যাচিংয়ের ব্যবস্থা থাকার পর ও যেসকল কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে দ্বৈত ভোটার হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে ইসি।
এ ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের গঠিত কমিটি শুনানি করে ব্যবস্থা নিতে ইসিকে সুপারিশ করবে। শুনানিতে কারো উদ্দেশ্য অসৎ বলে প্রমাণিত হলে মামলার সুপারিশ করা হবে। আর সরল বিশ্বাসে একাধিকবার ভোটার হলে প্রথম এনআইডি রেখে দ্বিতীয়টা কর্তন করা হবে।
দেশে বর্তমানে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী ভোটার। হিজড়া ভোটার আছে ৪৫৪ জন।