এম.পি.সার্কেল, সুশাসন চক্র ডেক্স:
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী নীতিগত কারণে পৈতৃকসূত্রে নিজের নামে ইজারার স্বত্বপ্রাপ্ত চিংড়ি মহালের ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বুধবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় চিংড়িমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করার সময় ভূমিমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, চিংড়িমহাল ইজারার ব্যাপারটি নিজ মন্ত্রণালয়ভুক্ত হওয়ায় নীতিগত কারণে তিনি এই চিংড়িমহাল নিজেদের অনুকূলে আর রাখতে চান না। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মন্ত্রীর পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় থাকায় এটি বাতিল হওয়াই শ্রেয়। সূত্র জানায়, কক্সবাজার এলাকায় এই চিংড়িমহালটি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে তাদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে ইজারা চুক্তির মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও তিনি আর ধরে রাখতে চান না।
সভায় কক্সবাজার থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এবং জাফর আলম ছাড়াও ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএসহ সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, চিংড়িমহালের রাজস্ব প্রদানে হয়রানি রোধে দ্রুত অনলাইন ব্যবস্থাপনা চালু করতে হবে। একই সঙ্গে চিংড়িমহালের ইজারাগ্রহীতাদের দুর্ভোগ কমাতে রাজস্ব জমা প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে ডিসিআর দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া একই পরিবার থেকে একাধিক সদস্য যেন একই সঙ্গে চিংড়ি মহালের ইজারা না পান, সে ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সভা থেকে চিংড়িমহাল নীতিমালা আধুনিকায়নসহ এনআইডি ছাড়া চিংড়িমহাল ইজারা না দেওয়ার ব্যাপারেও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
বিভিন্ন জেলার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সভায় ৪৪টি চিংড়িমহালের ইজারার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। অনুমোদন দেওয়া হয় ৪৩টি। এর মধ্যে সাতক্ষীরার ১৩৫ একর আয়তনের চিংড়িমহাল চিংড়ি চাষের অনুপযুক্ত হওয়ায় তা জলমহালে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, সারা দেশে প্রায় ১৫৯৬টি চিংড়িমহাল আছে, যা কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের উৎস।