এমপিসার্কেল, নেতাকর্মী চক্র ডেক্সঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা সজিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা মাসুদ আলম চিকিৎসাধীন অবস্থাায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের জেলার মো. শাখাওয়াত হোসেন।
এর আগে ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিন সহিংসতায় ইছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মাসুদ আলম আহত হন। ওই দিনের সহিংসতায় নিহত সজিব হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করার পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থাাতেই হাসপাতালে তিনি মারা গেলেন।
জেলা কারাগারের জেলার মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, ৩০ নভেম্বর সজিব হত্যা মামলার আসামি মাসুদ আলমকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তখনও তিনি গুরুতর আহত ছিলেন। পরে ১ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য প্রথমে সদর হাসপাতাল ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থাার অবনতি হওয়ায় ওইদিন রাতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান তিনি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সজিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন মাসুদ আলম। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে ৩০ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এর বাইরে কিছুই জানা নাই।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২৮ নভেম্বর তৃতীয় দফায় ভোটের দিন দুপুরে নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র মাঠে মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষকালে গুরুতর আহত হন সজিব। ওদিন সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে চাঁদপুরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরের দিন সজিব হোসেনের বোন বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাসুদ আলমকে প্রধান আসামিসহ ওই ইউনিয়নে বিজয়ী চেয়ারম্যান আমির হোসেন খানসহ ২২ জনের নামোল্লেখ করে আরও ২০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।